লেখাটি শেষ পর্যন্ত কার পক্ষে বা বিপক্ষে যাবে সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হচ্ছে- অপরাজনীতি অসৌজন্যমূলক আচরণকে বুঝবার শিষ্টতা। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- 'দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন'। এই উক্তির প্রেক্ষাপট অরাজনৈতিক ছিল না। বরং অপরাজনীতি বিরুদ্ধে একটা রাজনৈতিক হুংকার ছিল। এবার আসি মূল কথায়- গত কয়েকদিন আগে আমরা কয়েকজন মিলে উদ্যানের কোনে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিচ্ছিলাম। উল্লেখ্য
লেখাটি শেষ পর্যন্ত কার পক্ষে বা বিপক্ষে যাবে সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হচ্ছে- অপরাজনীতি অসৌজন্যমূলক আচরণকে বুঝবার শিষ্টতা।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- 'দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন'। এই উক্তির প্রেক্ষাপট অরাজনৈতিক ছিল না। বরং অপরাজনীতি বিরুদ্ধে একটা রাজনৈতিক হুংকার ছিল।
এবার আসি মূল কথায়-
গত কয়েকদিন আগে আমরা কয়েকজন মিলে উদ্যানের কোনে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিচ্ছিলাম। উল্লেখ্য যে, উপস্থিত আমাদের সবাই আওয়ামী ঘরানার পরিক্ষিত নির্মোহ একেকজন কর্মী মাত্র; যদিও এখন কেউ সক্রিয় ভাবে রাজনীতিতে জড়িত নয়।
আগুন নিয়ে গোল হয়ে সবাই দাঁড়িয়ে বসে আগুন পোহাচ্ছিলাম আর নানান খোস গল্প হচ্ছিল। অদূরে আরেক দল যুবক একই কাজে লিপ্ত ছিলো। আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম- হঠাৎ আমার পেছনে একটা হাতের টোকা পেলাম, ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখি এক অপরিচিত যুবক দাঁড়িয়ে, সে হাতের ইশারায় পার্শ্ববর্তী দলটিকে দেখিয়ে আমাকে বললো- ওখানে আপনাকে ডাকছে।
আমি মনে মনে খানিকটা বিব্রত ও রাগান্বিত হয়েছিলাম, কারণ এক অপরিচিত যুবক পেছন থেকে ঘাড়ে টোকা দিয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করায়। এটা কি ধরণের শিষ্টাচার!
লক্ষ্য করলাম উপস্থিত আমাদের সবার চোখে কিঞ্চিৎ উদবিঘ্নতা। সবাই চুপ। আমি যুবকটির মুখোমুখি হয়ে জিজ্ঞেস করলাম- তুমি কি আমাকে চেনো? ওখানে কে বা কারা আমাকে ডাকছে, ভুল হচ্ছে না তো তোমার? যুবকটি পুনরায় বললো- না আপনাকে চিনি না, তবে আপনাকেই ডাকছে।
ঠিক এমন সময় পার্শ্ববর্তী আগুন তাপানো দল থেকে এক ক্ষীণ দেহী যুবক হাত তুলে বললো- আসেন আসেন আপনাকে ডাকছি, একটা গান শুনতে চাই আপনার কন্ঠে, আপনি খুব ভালো গান করেন, কথাগুলো বলতে বলতে সে এগিয়ে এলো আমাদের কাছে, এবং এসে সে আমাদের সাথে দাঁড়িয়ে থাকা এক ছোট ভাইয়ের হাত ধরে আবারও বললো- চলেন আপনার একটা গান শুনবো। বিষয়টা এতক্ষণে কিছুটা পরিস্কার হলো যে, আমাকে তারা ডাকেনি। কিন্তু যাকে ডাকেছে সে-ও চল্লিশ ঊর্ধ বয়সের। আমি লক্ষ্য করলাম, গাতক ভাইটিও বেশ বিব্রত হয়েছে এমন আহবানে, এবং শরীর খারাপের অযুহাত দিয়ে সে গান গাইতে অপারগতা প্রকাশ করে। যদিও তাকে কেউ গান গাইতে অনুরোধ করলে, কখনো সে উপেক্ষা করে না।
যে বিষয়টি আমার কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক মনে হয়েছে সেটি হচ্ছে- পার্শ্ববর্তী দলের যুবকদের আহবানের এ্যাটিচুড। অন্তত কোনো সিনিয়র বা সিনিয়র সিটিজেন এরকম এগ্রেসিভ এ্যাটিচুড আশা করে না জুনিয়র কারোর থেকে।
কথাবার্তার এক পর্যায়ে যুবকটি আমাদের উদ্দেশ্য বললো- আপনারা তো ক্যাম্পাসের এক্স ভাই-ব্রাদার। এবং পরে জেনেছি আমাদের পার্শ্ববর্তী আগুন তাপানো দলটি ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ কর্মী। খানিক বাদে বিষণ্ণ চিত্তে উদ্যান ত্যাগ করি আমরা।
আরও অবাক হয়েছি যে, উপস্থিত আমাদের দলের সবাই ছিলো চুপচাপ! এ যেন অসৌজন্যমূলক দাম্ভিকতাকে মেনে নেওয়ার অপপ্রয়াস।
বিগত দশক ধ'রে দলের ঊর্ধ্বতন দূরদর্শিতাকে দোষারোপ করে অসামাজিকতা, অসৌজন্যমূলক, শিষ্টাচার বহির্ভূত অরাজনৈতিকতাকে নিরবে মেনে নেওয়া যেন সিনিয়রদের এক অক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ! অথচ ৮০/৯০ দশ পর্যন্ত এসব অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ দেখতে হয়নি।
আমার বন্ধু তালিকায় অনেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন- আপনারা যখন সিনিয়র হয়ে যাবেন, তখন কি জুনিয়র নেতাকর্মীদের নিকটে এমন আচরণ আশা করবেন?
বাংলাদেশের যেকোনো রাজনৈতিক দলের কাছে সাধারণ মানুষজন এমনকি দলীয় সিনিয়রেরা অন্তত সামান্য শিষ্টাচার অবশ্যই আশা করেন।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুখবরটা জানি কিন্তু একজন কর্মীর হার না মানা অন্তরালের ছোট ছোট গল্পগুলো অনেকেরই অজানা, সেই গল্পগুলোই আজ সম্মিলিতভাবে একটি সাফল্যের ডায়রি তৈরি করে দিলো। দৃঢ় সংকল্প তাকে করেছিলো আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী। সৃজনশীল ও মানবিক কর্মকাণ্ডে সবসময়ই সবার মাঝে থাকতো আলোচনা ও আগ্রহের কেন্দ্রে। কর্মী থেকে নেতা হওয়ার যুদ্ধ জয়ের গল্পের যুৎসই উদাহরণ হতে পারে এই নিউটন।
গোপালগঞ্জের রাজনীতির মাঠ-ঘাট কিংবা রাজপথ প্রতিটি কানে কানে দ্ব্যথহীনভাবে একজনের সময়-শ্রম-সাধনা' নিয়ে এককভাবে স্বাক্ষ্য দেয় সে হলো নিউটন। হাসিমুখ, নমনীয় ও বিনয়ী আচরণ এনে দিয়েছিলো বাড়তি সুবিধা।
আমাদের নেতা ও নেতার পরিবারের প্রতিটি ইস্যুতে সে ছিলো আপোষহীন। ছাত্রলীগকে সামনে রেখে নেতার নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে থাকাকেই সে তার দৈনন্দিন কাজ হিসেবে নিয়েছিলো। লেগে থাকলে যে ভালো থাকা অর্জন করা যায় সেটা নিউটনের থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়।
ওর সম্পর্কে লিখতে গেলে তো কাছ থেকে দেখা বছরের পর বছরের টুকরো অধ্যায় দিয়ে বড় একটা ইতিহাস হয়ে যাবে। ওর সম্পর্কে এখন আর বেশি লেখার নেই, এটুকু বলতে পারি এই প্রাপ্তি নিউটনের প্রাপ্য ছিলো, সে এটা ডিজার্ভ করে।
সবমিলিয়ে একজন নিউটনের কার্যক্রমই তাকে আজকের ছাত্রলীগের নেতৃত্বের জন্য অপরিহার্য করে তুলেছিলো। আমি ছাত্রলীগকে ভালোবাসি, তোমাদের ভালোবাসি। আর তোমার প্রতি ভালোবাসার স্বাক্ষী তো পুরো ময়দান। গোপালগঞ্জ ছাত্র রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র বঙ্গবন্ধু কলেজ ছাত্রলীগের মতো বড় একটা ইউনিট সামলে পুঁজি করেছো প্রশংসা, সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ থাকবে আশা করি। ঈর্ষণীয় সাফল্যকে সঙ্গী করে শেষ হোক এ যাত্রা। নেতার স্নেহধন্য হয়ে থাকাটা কিন্তু আরো বড় চ্যালেঞ্জ, সেই ছায়া যেন তুমি ধরে রাখতে পারো আজীবন সেই দোয়া করি সর্বদা। শুভকামনা শুভকামনা এবং শুভকামনা শেষ অবধি।
মহান আল্লাহ তায়ালা তোমার এবং তোমার টিমের মঙ্গল করুন।
নির্জন মুন্না
সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ।
হোয়াটসঅ্যাপের বিপরীতে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে তুরস্কের বিপ
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাইতে পারে পাকিস্তান!
চট্টগ্রাম থেকে এমভি বে ওয়ান ক্রুজ জাহাজে করে সরাসরি সেন্টমার্টিন
ভারতের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করলো ব্যবসায়ীরা
মোহনা জাহ্নবীর কবিতা
আলোর সন্ধানের উদ্যােগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল ও মাস্ক বিতরণ
ভ্যাকসিন কিনতে ৪৩১৪ কোটি টাকা অনুমোদন । বার্তাজগৎ২৪
পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৪৫টি এবং ৪টি বিএনপি জয়ী
ইসির ভাতা ও খাবারের বিলই সাড়ে ৭ কোটি টাকা
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়েছে বিক্ষোভকারীরা!